খুব সহজে গিটার শেখার উপায়
গিটার একট জনপ্রিয় ও সুন্দর একটি যন্ত্র।যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাধারন গাওয়ার মান কে একট সুন্দর রুপ দিতে পারেন যার মাধ্যমে সেটা আরো আকর্ষণীয় হবে।
গিটার এর পরিচয়
আপনাকে কোনো কিছু শেখার আগে প্রথমে সে সম্বন্ধে ধারনা থাকতে হয়
মুলত সেটা কি? আপনার আমার যেমন পুরো শরীরে বিভিন্ন অঙ প্রত্যঙ্গ প্রতিটি অংশ মিলে আমরা মানুষ ঠিক তেমনি গিটার এর ও কিছু অংশ রয়েছে যার সব মিলিয়ে একটি গিটার।
উপরের চিত্রটি হলো একটি একুয়েস্টিক গিটার নামে পরিচিত ভা শ্রবনতর গিটার।এই ধরনের গিটার গুলো অনেক জনপ্রিয়।আর এই গিটার গুলো বাজারদর খুব সস্তা আর সহজে পাওয়া যায়।তাই সবাই এগুলো ব্যাবহার করে থাকেন।
এবার আসা যাক গিটার এর বিভিন্ন অংশ বা পার্টস সম্বন্ধে।
উপরের চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পুরো একটি গিটা আর গিটার এর প্রতিটি অংশের নাম।গিটার এর সবচেয়ে উপরের অংশ হচ্ছে হেডস্টক বা মাথা।এই মাথায় থাকে টিউন যারর সাথে গিটার এর তার গুলো বেঁধে রাখা হয়।মাথার নিচে একটা বোর্ড এর মত অংশ যার উপরে গিটার এর তার গুলো সারিবদ্ধ ভাবে বিছানো থাকে একে nut নাট বলে।ফ্রেট বোর্ড এর উপরের অংশটি হচ্ছে ফ্রেট। ফ্রেট বোর্ড বিছানো ধাতু গুলো হচ্ছে নেক neck.তার নিচের অংশটি হচ্ছে বডি।এবং বডির মধ্যে গোল কঁাটা অংশটি হচ্ছে সাউন্ড হোল। যার ভিতরে গিটার এর আওয়াজ যায় এবং ভিতরে বিভিন্ন অংশে ধাক্কা খেয়ে দ্রুত আরো জরে বেরিয়ে আসে।গিটার এর যে তার গুল আছে এগুলো কে বলে স্ট্রিং string.এবং এগুলা যেখান থেকে উঠে এসেছে এই পুরো সিস্টেম টা হচ্ছে ব্রিজ।একটি ব্রিজ এর কাজ কি?পুরো রাস্তাকে ধরে রাখা।ঠিক একই ভাবে এই গিটার এর ব্রিজ ফ্রেট বোর্ড হতে স্ট্রিং গুলো কে ফ্রেট বোর্ড এর উপরে ধরে রাখে।এই হলো গিটার এর পরিচিতি এখন কিভাবে বসতে হয় ও গিটার ধরা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
উপরের চিত্রে ছয়টি তারের আলাদা আলাদা নাম আছে।সবচেয়ে উপরে E টা হলো থিকেস্ট E আর নিচের থিনেস্ট E।এই স্ট্রিং গুলোর নাম মনে রাখা জরুরী।
আপনারা সহজে মনে রাখতে এভাবে বলতে পারেন।
E=elephent
A=and
D=Dog
G=grew
B=Big
E=Ear
গিটার ধরা ও আসন
ভালোভাবে গিটার বাজাতে হলে প্রথম অবস্থায় টুল বা হাতল ছাড়া চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসাতে হবে। এক সময় যখন আয়ত্বে চলে আসবে তখন নিজের সুবিধামতো বসলেই হলো। ডান হাটুর উপর গিটারের বডির উরের দিক রেখে বাম হাতে ফ্রেট বোর্ডের নিচ দিয়ে ধরতে হবে। ডান হাত পুরোপুরি মুক্ত থাকবে, আঙুলে থাকবে পিক।পিক কি?পিক হলো যেটা হাতে নিয়ে গটার বাজাতে হয়।যাকে স্ট্রকার ও বলা হয়।
ফ্রেটবোর্ডের সামনের দিক, চোখের প্রায় সমান্তরালে থাকবে, শুধু একটু দেখতে পারলে হয় বাম হাতের আঙুলগুলো কোন ফ্রেটের কোন তারে বসছে।
পিক ধরা:
পিক আংগুলের এক ধারে রেখে বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। খুব শক্ত করে ধরার প্রয়োজন নেই, এমনভাবে ধরতে হবে যেন স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়। পিক ধরতে প্রথমে সমস্যা হতে পারে, হাত ঘেমে যেতে পারে। খুব সমস্যা মনে হলো, পিক ছাড়াই শুধু আঙুল দিয়ে বাজাতে পারেন। নিচের ছবিতে পিক ধরার নিয়ম দেখানো হয়েছে।
আঙুল:
আমাদের হাতের সব আঙুল সমানভাবে ব্যবহৃত হয় না বলে সব আঙুল সমানভাবে দক্ষ নয়। যেমন, তর্জনী বা মধ্যমাকে যত সহজে নড়াচড়া করা যায়, কনিষ্ঠ আঙুলকে তত সহজে যায় না। একক ভাবে অনামিকাকে নড়া চড়া আরো কঠিন মনে হতে পারে। গিটার বাজানোর জন্য বা হাতের এ চারটি আঙুলকে খুব দ্রুত আলাদাভাবে নড়াচড়ার দক্ষতা আনতে হবে। এটা কঠিন মনে হতে পারে, তবে অধ্যাবসায় রাখলে একসময় ঠিক হয়ে যাবে।
আমাদের হাতের সব আঙুল সমানভাবে ব্যবহৃত হয় না বলে সব আঙুল সমানভাবে দক্ষ নয়। যেমন, তর্জনী বা মধ্যমাকে যত সহজে নড়াচড়া করা যায়, কনিষ্ঠ আঙুলকে তত সহজে যায় না। একক ভাবে অনামিকাকে নড়া চড়া আরো কঠিন মনে হতে পারে। গিটার বাজানোর জন্য বা হাতের এ চারটি আঙুলকে খুব দ্রুত আলাদাভাবে নড়াচড়ার দক্ষতা আনতে হবে। এটা কঠিন মনে হতে পারে, তবে অধ্যাবসায় রাখলে একসময় ঠিক হয়ে যাবে।
কর্ড বাজানোর জন্য ছটি তারের বিশেষ বিশেষ তার বিশেষ ফ্রেটে আঙলের মাথা দিয়ে চেপে ধরতে হয়। চেপে ধরার বেলায় আঙুলের নখ খুবই অসুবিধাজনক। এ কারনে, বাম হাতের নথ ভালমতো কেটে নিতে হবে।
প্রথম কর্ড
আমরা প্রথমে যে কর্ডটা ধরতে শেখব সেটা হলো এ মেজর। এ মেজর ধরার জন্য ১, ২ ও ৩নং তারের যথাক্রমে ৪, ৩, ও ২ নং ফ্রেটে ধরতে হবে। কোন তার কোন আঙুলে ধরবেন সেটা ব্যক্তিগত পছন্দের। অধিকাংশ চিত্রের মতো করে ধরে। বুড়ো আঙুল দিয়ে গিটারের নেক শক্ত করে ধরতে হবে। উল্টোদিকের ছবিতে দেখুন।
আঙুলগুলোর মাথা যতটা সম্ভব ধাতব বারের ঠিক পেছনে রাখতে হবে। এতে আঙুলের উপর কম চাপ পড়বে। তারগুলো ধরা হলে, ডান হাতে পিক দিয়ে নীচের চারটি তার বাজান। ঠিকমতো ধরা হলে সুন্দর শব্দ বের হবে। ধরা সঠিক না হলে, শব্দ ভোঁতা বা মড়া শোনাবে, বা সবগুলো তারের শব্দ শোনা যাবে না।
আরো দুটি কর্ড:
ডি মেজর বাজাতে পারলে আমরা আরো দুটি কর্ড শিখব। প্রথমটি হলো এ মেজর, দ্বিতীয়টি ই মেজর। এ মেজর ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ২, ৩, ও ৪ নং তারের ২নং ফ্রেটে ধরুন। কোন আঙুল দিয়ে ধরবেন, সেটা আপনার সুবিধামতো স্থির করুন। তর্জনী দিয়ে যা ধরেছি তা কেবল আঙুলে শক্তি যোগানোর জন্য। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে ৬নং তার বাদ দিয়ে বাকী সবগুলো তার বাজান। শব্দ সুন্দর শোনালে কর্ড ধরা সঠিক হয়েছে মনে করতে পারেন।
ডি মেজর বাজাতে পারলে আমরা আরো দুটি কর্ড শিখব। প্রথমটি হলো এ মেজর, দ্বিতীয়টি ই মেজর। এ মেজর ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ২, ৩, ও ৪ নং তারের ২নং ফ্রেটে ধরুন। কোন আঙুল দিয়ে ধরবেন, সেটা আপনার সুবিধামতো স্থির করুন। তর্জনী দিয়ে যা ধরেছি তা কেবল আঙুলে শক্তি যোগানোর জন্য। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে ৬নং তার বাদ দিয়ে বাকী সবগুলো তার বাজান। শব্দ সুন্দর শোনালে কর্ড ধরা সঠিক হয়েছে মনে করতে পারেন।
ই মেজর কর্ড ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ৩, ৪, ও ৫নং তারের যথাক্রমে ১, ২ ও ২ নং ফ্রেটে ধরুন। খেয়াল রাখবেন কনিষ্ঠ আঙুল যেন কোন তারের উপর না পড়ে। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে সবগুলো তার বাজান।
অন্যান্য কর্ড:
ডি মেজর, ই মেজর ও এ মেজর কর্ড বাজাতে পারলে, আগের পাঠে দেয়া অন্যান্য কর্ডগুলোও বাজাতে চেষ্টা করুন। জি মেজর কর্ড ধরতে যদি খুব সমস্যা হয় তবে, কেবল নীচের ১ ও ২নং তার ধরুন (৫ ও ৬ নং ধরবেন না, বাজাবেনও না)।
ডি মেজর, ই মেজর ও এ মেজর কর্ড বাজাতে পারলে, আগের পাঠে দেয়া অন্যান্য কর্ডগুলোও বাজাতে চেষ্টা করুন। জি মেজর কর্ড ধরতে যদি খুব সমস্যা হয় তবে, কেবল নীচের ১ ও ২নং তার ধরুন (৫ ও ৬ নং ধরবেন না, বাজাবেনও না)।
কর্ড প্রগ্রেসন:
গান গাইবার সময় কণ্ঠ নিয়ত উচু ও নীচু কম্পাংকে আসা যাওয়া করে। গলার সাথে মিল রেখে গিটারেও ভিন্ন কর্ড বাজাতে হয়। গলার উঠানামাটা ব্যকরণবদ্ধ নিয়ম অনুসারে হয়। সে কারনে, গিটারের একটা কর্ডের পর আরেকটা নির্দিষ্ট কর্ড আসে। এক কর্ড থেকে বাজিয়ে বাজিয়ে অন্য কর্ডে যাওয়াকে কর্ড প্রগ্রেসন বলে। গানের ধরনের (রক, পপ, ব্লুজ ইত্যাদি) উপর নির্ভর করে কিছু সুনির্দিষ্ট কর্ড প্রগ্রেসন আছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে পরে কোন এক পাঠে জানব।
গান গাইবার সময় কণ্ঠ নিয়ত উচু ও নীচু কম্পাংকে আসা যাওয়া করে। গলার সাথে মিল রেখে গিটারেও ভিন্ন কর্ড বাজাতে হয়। গলার উঠানামাটা ব্যকরণবদ্ধ নিয়ম অনুসারে হয়। সে কারনে, গিটারের একটা কর্ডের পর আরেকটা নির্দিষ্ট কর্ড আসে। এক কর্ড থেকে বাজিয়ে বাজিয়ে অন্য কর্ডে যাওয়াকে কর্ড প্রগ্রেসন বলে। গানের ধরনের (রক, পপ, ব্লুজ ইত্যাদি) উপর নির্ভর করে কিছু সুনির্দিষ্ট কর্ড প্রগ্রেসন আছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে পরে কোন এক পাঠে জানব।
No comments