Adsense

SCHOOL LIFE LOVE STORY

School Life Love Story

আমরা নিজে অন্যকে আপন করে নিতে পারি বলেই আমরা মানুষ। সবাই তো ভালোবাসে, সবার ই তো নিজের মনের মানুষ থাকে। সবার ই তো এমন কেউ থাকে যে কোনো কিছু না বলেই মন টাকে চুরি করে নিয়ে যায়। হঠাত করে এসেই দোলা দিয়ে যায়। আর এগুলো প্রথম শুরু হয় টিন এজার থাকা অবস্থায় স্কুলে পড়া অবস্থায়। টিন এজার বলতে থার্টিন থেকে নাইন্টিন অবদি অর্থাৎ তের থেকে ১৯ বছর বয়স অবদি।তো আমি সবার থেকে আলাদা হব কেন? আমিও একসময় এরকম ছিলাম, আমিও টিন এজার আসলে মানে স্কুলে পড়তাম। আসলে আমি বলতে চাইছি যে আমিও প্রেমে পড়ছিলাম বুঝেন না কেন?
আমার বয়স তখন ১৪ বা ১৫ হবে।৯ম শ্রেণীতে কেবল ই পা রেখেছি।তখন কেমন যেন অন্যরকম লাগত।সব কিছু নতুন নতুন লাগত। দুনিয়াটাকে আলাদা ভাবে বুঝতে শিখেছি। তখন বন্ধুদের সাথে আগের চেয়েও বেশি মিশি। আগের চেয়েও বেশি আড্ডা দেই। আমার ফ্রেন্ডদের মধ্যে অনেকেই পছন্দ করত, প্রেম করত জানতাম। প্রেম বলতে মনে মনে পছন্দ করে. এখনো বলে নি বলে দিবে। আমি বলতাম কি করিস এগুলা, লাভ কি এগুলো করে? শুধু টাইম পাস আর কিছু না। তারা বলে তুই এগুলো কিভাবে বুঝবি যখন প্রেমে পরবি তখন আমাদের থেকেও এডভান্স থাকবি দেখে নিস। আমার মুখের বলা যেন বন্ধ করে দিলো হাসা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলাম না।
এভাবেই ৯ম শ্রেনীর জীবন পার করছিলাম। দেখতে দেখতে পহেলা বৈশাখ চলে এলো। আমাদের স্কুলে মেলা হয়, আমরাও মেলায় অংশ গ্রহণ করলাম। আসলে তখন আগের চেয়েও বেশি ভালো লাগত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মজা করতে। পহেলা বৈশাখ এর দিনটা খুব ভালো লেগেছিল, ভালো ভাবে কেটেছিল। আসলে সেইদিন এক মেয়ে আমার শক্ত হৃদয় টায় জ্বরে হাতুর দিয়ে আঘাত করেছিল। সেই আঘাত যেই সেই আঘাত নয়। খুব জ্বরে, শক্ত হৃদয় টা নরম হয়ে গেলো। এই আঘাতে কোনো ব্যাথা লাগেনি, কেমন লেগেছিল সেটা এখন কিভাবে বলব, কবি হলেও হয়ত এটা তার ভাষায় ব্যাক্ত করতে পারত না। সেইদিন রাতে শুধু তার কথাই ভাবলাম। রোমান্টিক গান গুলোর কথা গুলো সুর খুব ভালো লাগত সারা দিন শুনতাম।
সারাদিন চুপ করে থাকতাম, সারাদিন হাসি খুশি থাকতাম। একটুও ফাজলামো দুষ্টামি করতাম না। যার নাকি ফাজলামো দুষ্টামি ছাড়া ঘুম আসত না আর তার এই অবস্থা। বৃষ্টি ভালো লাগত,বাচ্চা ভালো লাগত,প্রকৃতির সন্দর্য ভালো লাগত।
প্রথমে ভাবলাম বন্ধুদের বলে দিব কিন্তু বললাম ওরা যদি কিছু করে দেয়, মেয়েটার সামনে গিয়ে যদি কিছু বলে, তাই চেপে রাখলাম। কিন্তু সেটা কতক্ষন, বেশিদিন চেপে রাখতে পারলাম না। বলেই দিলাম বন্ধুদের কিন্তু আগেই কিছু শর্ত দিয়ে নিলাম।কে রাখে কার কথা। বন্ধুদের কখনওই এই ব্যাপারে ভরসা করা যে কত বড় পাপ হারে হারে টের পেয়েছিলাম।
জীবন টাকে জাহান্নাম করে দিয়েছিল। তারা মনে হয় আমার নাম ভুলে গিয়েছিল, সারাক্ষন সুরাইয়া বলে ডাকত।
আরে না পারতাম সহ্য করতে না পারতাম কিছু করতে, একটু রাগ দেখাতাম তার বেশি না। কিন্তু বন্ধুরাই প্রেমে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিল।আমাদের রিলেশনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল।আগে ক্লাসে আসতাম ক্লাস শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পরে। এখন ক্লাসে আসা শুরু করলাম ক্লাস শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা আগে। তার ক্লাসের সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করতাম তাকে একটু দূর থেকে দেখার জন্য। সে যখন ক্লাস থেকে ছুটির সময় বের হত পিছু নিতাম তার বাসা অবদি। ক্লাস করি আর না করি স্কুলের সামনে ঠিক ই যেতাম। পোড়াশোনা গোল্লায় গিয়েছিল। আব্বু আম্মু বলত স্যার বলত কে শোনে কার কথা।আমি আমার মতই চলছিলাম। তার পিছে অনেকদিন ঘোড়ার পর সে সারা দেওয়া শুরু করেছিল।এভাবে নবম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষা চলে এল।পরীক্ষা দিলাম সাথে ভাবলাম পরীক্ষার পর তো ১৫ দিন আগের মত আর দেখা হবে না।তাই ভাবলাম পরিক্ষার মধ্যে যেভাবেই হোক বলব ওকে। কে দেয় কার পরীক্ষা ১ ঘন্টা বসে থেকে আস্তে করে বেড়িয়ে যেতাম। সে কখন পরীক্ষা দিয়ে বের হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত বলতে পারি নি। কিন্তু বলতে না পারলে কি হইছে তার বাসার সামনে গিয়ে বসে থাকতাম। কেও কিছু বললে কানে নিতাম না। আমার কাজ আমি করে যেতাম। আর এবার ভেবেই নিয়েছি যে বলবই ক্লাস শুরু হলে। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল খুব কিন্তু এলাও হইছি। ও ক্লাস শুরু হওয়ার প্রথম দিন ক্লাসে আসতেই বলে দিতে চলে গেলাম পারলাম ই না। তারপরের দিন আবার গেলাম পারলাম না। আবার গেলাম পারলাম না তারপর আবার। এবার বন্ধুরা রেগে গেল এবার যেভাবেই হোক বলাবেই আমাকে। বলার জন্য রেডি হলাম। বলতে তো সবসময় ই যাই কিন্তু ওর সামনে গেলে তাকাতে পারি না। চোখের দিকে তাকালে বুকের আওয়াজ বেরে যায়।ওইদিন সকালে বসেছিলাম সবাই মিলে দেখলাম ও আসছে সাথে সাথেই আমি চলে যেতে নিলাম। কিন্তু আমার বন্ধুরা আমাকে কি আর ছারে। ও এই কয়দিনে কিছু বুঝতে পারায় সারা দিয়েছিল।
আমায় এসেই বলে যে একটা কলম হবে। আমার কলম শেষ হয়ে গেছে কিনে নিতে ভুলে গেছি। এখন আবার গিয়ে কলম কিনতে ক্লাস শেষ হয়ে যাবে।বাজার অনেক দূর,,,,,,,,
আমি ব্যাগ থেকে কলম নিব কলম কে কেনে আমি তো পড়াশোনায় মন দেই না। বন্ধদের ব্যাগ থেকে নিয়ে কোনভাবে দিলাম। ও বলল যে স্কুল শেষে দিয়ে দিবে আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম অপেক্ষা যেন শেষ হয় না। পরে সে আসল,
আমি বললাম আমি একটা কথা বলতে পারি? মানে আবার কবে কলম নিতে আসবে। ও বলল কলম ত নিতে আসব না।কিন্তু আপনার সাথে কথা বলতে পারি।এভাবে হয়ে গেলো আমাদের প্রেম, প্রতদিন ক্লাস শেষে ওর সাথে কথা বলতে বলতে যেতাম। এভাবে ধিরে ধিরে তুমি বললাম হাত ধরলাম প্রোপজ করার প্রোয়জন হয় নি।কারন আমি জানি ও জানে আমরা ভালোবাসি। ওর সাথে যখন হাত ধরে হাঠতাম জ্বরে বলতে ইচ্ছে করত, ধন্য তোমায় ভালোবেসে।ও আমাকে খুব বুঝত। আমার লাইফ টাকে সাজিয়ে দিয়েছিল। ওর জন্য পড়তে বসেছিলাম আবার নতুন করে। সব নামা্য পড়তে হত ওর জন্য।আমার সেমিস্টার এর রেজাল্ট ভালো হওয়ায় বাসা থেকে চাপ দেয়া কমিয়ে দিল।আব্বু আম্মি আবার আগের মত আদর করত। তাই তো ওর হাত ধরে বলতে ইচ্ছে করে
"আমি হাঠতে চাই,তোমার সাথে
শুরু থেকে পথের শেষে
হঠাত থমকে দিয়ে বলতে চাই
ধন্য তোমায় ভালোবেসে"

1 comment:

Powered by Blogger.